শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ব্রাসেলসে এক বৈঠকে বিলম্বিত ব্রেক্সিটের মূলনীতির বিষয়ে একমত হন ইইউয়ের কূটনীতিকরা। তবে কবে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হবে এর কোনো তারিখ নির্ধারণ করেননি তারা।
ইইউ মুখপাত্র মিনা এন্ড্রিভা বলেছেন, ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন ইইউ কূটনীতিকরা।
ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে ব্রিটেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বৈঠকে বসেন ইইউয়ের ২৭ দেশের কূটনীতিকরা। বৈঠকের পর ইইউয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমে জানান, ব্রেক্সিট পোছানোয় রাজি; শনিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত এ বিষয়ে আলোচনা চলবে। আশা করছি ব্রেক্সিট চুক্তি সম্পন্ন করতে আগামী সপ্তাহের সোমবার বা মঙ্গলবার (২৮ ও ২৯ অক্টোবর) আবারও বৈঠকে বসা হবে। তবে এ বিষয়ে ইইউ নেতাদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করবেন না কূটনীতিকরা। নিজেরা চালাবেন আলোচনা।
এদিকে, মাত্র কয়েকদিন বাকি ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত তারিখের। এখনও হাউস অব কমন্সে চুক্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আইনপ্রণেতাদের নাকচের পর নাকচে তিনি সে সুযোগই পাননি। তাই বাধ্য হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আবেদন করেন ব্রেক্সিট তিন মাস পেছানোর।
যদিও ব্রেক্সিটে পেছানো হলে বরিস জনসন আগামী বড়দিনের আগে আগাম সাধারণ নির্বাচন ডাকবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের।
তবে আগাম নির্বাচন শুধু তার কথায় নয়; সংসদের অনুমোদন পেলে তারপর। এ হিসেবে শুধু হুঁশিয়ারি দিলেই হবে না বাস্তবায়নটা কঠিন। কেননা, এর আগেও চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে বারবার হেরে গিয়ে আগাম নির্বাচনের হুমকি দিয়ে হাউস অব কমন্সে আটকে গিয়েছিলেন ব্রেক্সিটপন্থী এ নেতা।
এদিকে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ব্রাসেলসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রেক্সিটের সময়সীমা বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তবে ব্রিটিশ এমপিরা নির্বাচন মেনে নিলেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রেক্সিটের সময় নিয়ে ভাববেন তিনি।
আগাম নির্বাচনে যেতে হলে দুই তৃতীয়াংশ এমপিকে অবশ্যই পক্ষে ভোট দিতে হবে। যদিও এরইমধ্যে অনেকে এর বিরোধিতা করেছেন।
এর আগে অনেক অচলাবস্থা কাটিয়ে গত সপ্তাহে বরিস জনসন এবং ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য ব্রাসেলসে নতুন একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন। যা মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হাউস অব কমন্সে উত্থাপনের আগেই আরেকটি প্রস্তাবে ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর আরও কয়েকবার চুক্তিটি নিয়ে হেরে যান জনসন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্যর্থ চলতি বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় টেরিজা মে-কে। এরপর নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বরিস জনসন। ক্ষমতায় আসার পরেই ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে আলাদা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
টিএ