সোমবার (২৮ অক্টোবর) এমন তথ্যই জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাউথ-ওয়েস্টের একটি প্লেনের টয়লেটে গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগে দুই পাইলট এবং ওই এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রিনি স্টেইনাকের নামে ওই প্লেনেরই এক বিমানবালা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ২০১৭ সালের। স্টেইনাকের তখন সাউথ-ওয়েস্ট এলারলাইন্সের বিমানবালা। একদিন ফ্লাইট চলাকালীন তাকে ককপিটে ডাকেন প্লেনের প্রধান পাইলট টেরি গ্রাহাম। তিনি গেলে টয়লেটে যাবেন বলে তাকে কিছুক্ষণ এখানে বসতে বলে পাইলট। কারণ ওই এয়ারলাইন্সের নিয়মানুযায়ী ফ্লাইট চলাকালীন ককপিটে দুই জন কর্মকর্তা থাকতে হবে। পরে তিনি ককপিটে বসেন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পাইলট রিয়ান রাসেল।
ককপিটে থাকাকালীন হঠাৎই স্টেইনাকের খেয়াল করেন একটি আই-প্যাড, যেখানে টয়লেটের চিত্র লাইভ দেখা যাচ্ছে। তখনই তিনি টের পান টয়লেটে গোপন ক্যামেরা রাখা আছে।
অভিযোগে স্টেইনাকের বলেন, বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই আমি ককপিটে থাকা সহকারী পাইলট রাসেলকে জানাই। তখন সে আমাকে চুপ থেকে ব্যাপারটি গোপন করতে বলে। একইসঙ্গে সে জানায়, নিরাপত্তার খাতিরেই নাকি টয়লেটে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
এরপর বিষয়টি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকেও জানান স্টেইনাকের। তবে সেখানকার এক সুপারভাইজার স্টেইনাকেরকে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলার আদেশ দেয়।
মামলায় সূত্রে আরও জানা যায়, এ ঘটনার পরেও ওই দুই পাইলটকে বাদ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারা এখনও সাউথ-ওয়েস্টের বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করেন।
তবে বিষটি অস্বীকার করেছে ওই দুই পাইলট এবং সাউথ-ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ধরনের কিছুই হয়নি। এটি তাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের মারিকোপা কাউন্টির আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন স্টেইনাকের। সম্প্রতি মামলাটি অ্যারিজোনা জেলা আদালতে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখনও শুনানির দিন ধার্য হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসএ/