বিভাজিত কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দেখতে যাবে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ২৮ জন সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত ওই প্রতিনিধিদল। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
কাশ্মীরে যাওয়ার আগে সোমবার প্রতিনিধিদলটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোবালের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে তারা জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকবার কাশ্মীর যেতে চাইলেও তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস বলেন, কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য রাজনৈতিক নেতাদের আটক রাখার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত সপ্তাহে এক বৈঠকে তিনি বলেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষা ও ইন্টারনেট-টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ফের চালু করতে আমরা ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে একমত যে, কাশ্মীরের বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত সরকার। এরপর কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিতে এ পর্যন্ত ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোন সেবা চালু করা হলেও অনেকেই এটা ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন।
তবে ভারত সরকার বারবার দাবি করে আসছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এফএম/এইচএ/