সোমবার (২৯ অক্টোবর) এতথ্য জানিয়েছেন কুর্দি-পরিচালিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) সিনিয়র কনসালট্যান্ট পোলাট ক্যান।
বাগদাদীকে হত্যার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে কুর্দিরা।
পোলাট জানান, আল বাগদাদীর কাছে যাওয়া-আসা ছিল তাদের এমন এক সোর্স আইএস নেতার আন্ডারওয়্যার চুরি করে আনেন। সেটি থেকে ডিএনএ পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হয় বাগদাদীর অবস্থান।
তিনি জানান, গত ১৫ মে সিআইএ বাগদাদীকে চিহ্নিত করার পর থেকেই এটি নিয়ে কাজ শুরু করে এসডিএফ। তারা নিশ্চিত করেন, বাগদাদী সিরিয়ার দেইর আজ জর শহর থেকে ইদলিবে এসেছেন। তিনি ওই শহর ছেড়ে জারাব্লাসে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই মার্কিন সেনারা অভিযান চালিয়ে আইএস প্রধানকে হত্যা করে।
এসডিএফের উপদেষ্টা বলেন, সব গোয়েন্দা তথ্য, বাগদাদীর সংস্পর্শ, এমনকি তার ঘাঁটি চিহ্নিত করাও আমাদের কাজের ফল। বাগদাদীর অবস্থানের তথ্য, এয়ারড্রপের দিকনির্দেশনা, অভিযানে অংশগ্রহণ ও সেটি সফলভাবে সমাপ্ত করার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের সোর্স জড়িত ছিল।
গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিরিয়ার ইদলিবে মার্কিন সেনা অভিযানকালে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে তিন শিশু সন্তানসহ নিহত হন জঙ্গিনেতা বাগদাদী।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মার্কিন সেনাদের হামলার মুখে সুড়ঙ্গের ভেতর দৌড়ে পালান বাগদাদী, সঙ্গে তিন শিশুসন্তানকেও টেনে নিয়ে যান তিনি। তাদের মার্কিন সেনাবাহিনীর কুকুর ধাওয়া করেছিল। এসময় ভেতর থেকে অনবরত চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা এমন এক জায়গায় পৌঁছান, যেখান থেকে পালানোর কোনো উপায় ছিল না। সেসময় গায়ে থাকা সুইসাইড ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটান এই আইএস নেতা।
আরও পড়ুন> লাদেনের মতো বাগদাদীর ভাগ্যেও ‘সলিল সমাধি’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
একে