নতুন করে শুরু হওয়া বিক্ষোভের চতুর্থ দিন সোমবার (২৯ অক্টোবর) বাগদাদে বিক্ষোভে পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত ও শতাধিক আহত হন। অন্যদিকে এদিন রাতে কারবালা শহরে পুলিশের সঙ্গে আরেক সংঘর্ষে আরও ১৩ জন নিহত ও ৮৫০ জন আহত হন।
এদিকে বাগদাদে কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, এক হাজার লোক নিহত হলেও শেষ দিন পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে।
গত ১ অক্টোবর থেকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দুর্নীতি দমন ও উন্নত নাগরিক সেবার দাবিতে ইরাক জুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২২০ জন নিহত হয়েছেন।
সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি প্রস্তাবিত বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন। কিন্তু বিক্ষোভাকারীরা বর্তমানে তারও পদত্যাগ দাবি করছে।
প্রথম দফার পর দু’সপ্তাহের বিরতিতে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নতুন করে শুরু হয় বিক্ষোভ। এদিন দেশ জুড়ে ৭৪ জন নিহত ও সাড়ে ৩ হাজার জন আহত হন।
এর আগে প্রথম দফার বিক্ষোভকালে আদেল আবদুল মাহদি তার মন্ত্রীসভাকে নতুন করে সাজানোর ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমানোর অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি বেকারদের জন্য ছয় কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু ও দরিদ্র এলাকায় এক লাখ নতুন ঘর তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন।
বিক্ষোভ প্রশমনে ইরাকে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এবি/এইচজে