সোমবার (২৮ অক্টোবর) ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিটের ব্যাপারে সম্মত হয় ইউরোপীয় কাউন্সিলের ২৭ দেশ। যদিও জনসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ পেছানো, কিন্তু তারপরও পেছালে আগাম নির্বাচন ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কনজারভেটিভ নেতা।
এর আগে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বিল পাসে ব্যর্থ হয়ে দুইবার আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব এনে আটকে গিয়েছিলেন ব্রেক্সিটপন্থী এ নেতা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, নির্বাচন ইস্যূতে চতুর্থবারের মতো শেষ চেষ্টা চালাবেন বরিস জনসন। তিনি এক পৃষ্ঠার একটি বিল উত্থপান করে ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুমোদনের জন্য সংসদ সদস্যদের বলবেন।
অবশ্য এবার এ দিন দেশের সাধারণ নির্বাচন করতে তার সঙ্গে কয়েকদিন ধরে একমত লিবারেল পার্টিসহ দুইটি রাজনৈতিক দল। এছাড়া ইতোমধ্যে দেশের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টিও সম্মত হয়েছে ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন করতে।
মঙ্গলবার লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ১২ ডিসেম্বর সরকার আগাম নির্বাচন করার প্রস্তাব আনলে লেবার পার্টি তাতে সমর্থন করবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের প্রস্তাব পার্লামেন্টে উঠলে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি ভোট দানে বিরত থাকলে পক্ষে ২৯৯ এবং বিপক্ষে ৭০ ভোটে হেরে যান জনসন। কনজারভেটিভরা জয়লাভ করেন। দুই-তৃতীয়াংশ ভোট অর্থাৎ ৪৩৪ ভোটের অনেক কম পায় কনজারভেটিভ সরকার।
তারপরও আবার এ নিয়ে চেষ্টা করতে চান জনসন। তৃতীয় পরাজয়ের পরপরই তিনি আবার বিল পাসের উদ্যোগের ঘোষণা দেন।
দেশে আগাম নির্বাচন করতে হলে নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স এবং উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস- দুই জায়গায়ই এ সংক্রান্ত বিল পাস হতে হবে।
এদিকে, সোমবার ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া পেছাতে রাজি হয়েছে ইইউ।
আরও পড়ুন>> ৩ মাস ব্রেক্সিট পেছাতে রাজি ইইউ
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এফএম/টিএ