দীর্ঘ এক পদযাত্রা শেষে শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোরের দিকে মাওলানা ডিজেল ও অন্য দলগুলোর হাজার হাজার অনুসারী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে জড়ো হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত রোববার (২৭ অক্টোবর) ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে দক্ষিণের শহর করাচি থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এ সময়ের ভেতর আন্দোলনকারীরা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়।
এ আন্দোলনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অনুসারীরাও অংশ নিয়েছে।
দেওবন্দী ঘরানার সুন্নি মতাদর্শী ৬৬ বছর বয়সী মাওলানা ডিজেলের দাবি, হয় ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে, নয়তো তাকে হাজার হাজার মানুষের এ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) যাত্রাপথে আয়োজিত এক সমাবেশে মাওলানা ডিজেল বলেন, আমরা অবৈধ সরকার পতনের লক্ষ্যেই ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি।
সরকারবিরোধী দলগুলো জানায়, গত বছর দেশটিতে হওয়া নির্বাচনে সেনাবাহিনী অবৈধ হস্তক্ষেপ করে। এবং কারচুপির মধ্য দিয়ে জেনারেলরা নিজেদের পছন্দের পাত্র ইমরান খানকে মসনদে বসায়।
পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করতে প্রায়শই সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পর্দার আড়ালে থেকে নানা ধরনের চাল চালে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাওলানা ডিজেলের মুখপাত্র গফুর হায়দারি বলেন, সামরিক হস্তক্ষেপে চলা বর্তমান সরকার পতনের উদ্দেশ্যেই আমাদের এ পদযাত্রা।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক সময়ই পাকিস্তান সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। দেশটিতে প্রায়শই জনগণের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরনের দা-কুমড়ো সম্পর্ক বিরাজ করে। গত ৭০ বছরের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই এখানে পূর্ণ মেয়াদে সরকারে থাকতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এইচজে