বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের মুখপাত্র বিয়েন সেয়ুম এ তথ্য জানান।
সেয়ুম জানান, গত সপ্তাহের ‘বিবেকহীন সহিংসতায়’ ওরোমিয়া ও হারারি এলাকা এবং পূর্বাঞ্চলের দিরে দাওয়া শহরে অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন।
গত ২৫ অক্টোবর ওরোমো গোত্রের প্রভাবশালী সমাজকর্মী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাওয়ার মোহাম্মদ এক অভিযোগে জানান, সরকারের পুলিশ বাহিনী তার ওপর হামলার ছক কষছে। তারা রাজধানী আদ্দিস আবাবায় তার বাড়ি ঘিরে রেখেছে। এরপরপরই বিপুল জনপ্রিয় জাওয়ারের সমর্থক ও তার জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা এর প্রতিবাদ রাজপথে নেমে পড়ে। তারা জ্বালাও-পোড়াও থেকে শুরু করে বিভিন্ন সহিংসতায় লিপ্ত হয়।
যদিও পুলিশ বাহিনী ও সরকারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদও ওরোমো গোত্রের লোক। এ প্রসঙ্গেই বিক্ষোভকারী এক তরুণ বলেন, জাওয়ারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
গত বছর রাজপথে ব্যাপক প্রচারণা ও জনসমর্থন তৈরির মধ্য দিয়ে জাওয়ার আবিকে ক্ষমতায় বসতে বিশেষভাবে সাহায্য করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার অ্যাম্বো শহরে এক বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক আক্রোশের শিকার হন আবি। সে সময় অন্তত সাতশ’ বিক্ষোভকারী ‘আবির পতন চাই’, ‘জাওয়ার আমাদের নায়ক’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
শেষমেশ আলোচনা অসমাপ্ত রেখেই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন আবি। পরে কঠোর নিরাপত্তায় হেলিকপ্টারযোগে ওই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দাঙ্গাজর্জর ইথিওপিয়ায় রাজনৈতিক সংস্কারকাজ শুরু করেন আবি আহমদ। এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান এ নেতা। তার বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশটির বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের দাঙ্গা থেমে যায়।
শুধু তাই নয়, ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়ার মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের সংঘর্ষ বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনায় চলতি বছরের অক্টোবরেই শান্তিতে নোবেল পান এ প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ বিক্ষাভ নিরসনে কয়েকদিন আগেই এক বিবৃতি দেন আবি আহমদ। তাতে জনগণকে শান্ত হওয়ার জন্য বলা হয়। এসময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে যতাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এফএম/এইচজে