গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গ্রেটার সঙ্গে দু’টি ছবি শেয়ার করেছেন লিওনার্দো। সেখানে দুরন্ত সাহসী মেয়েটিকে ‘এসময়ের নেতা’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
টাইটানিকখ্যাত এ অভিনেতা পোস্টের ক্যাপশনে বলেন, মানবজাতির ইতিহাসে এমন সময় খুব কম এসেছে, যখন আওয়াজ এত কেন্দ্রীয়ভাবে ও রূপান্তরমূলক পদ্ধতিতে বিস্তৃত হয়েছে। গ্রেটা থানবার্গ আমাদের সময়ের নেতা হয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবে কেড়ে নেওয়া জীবনধারণযোগ্য গ্রহ ফিরিয়ে দিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশ্ব কী করছে, তার জন্য ইতিহাস আমাদের বিচার করবে।
গ্রেটার মতো লিওনার্দোও পরিবেশবাদী আন্দোলনে সামিল বহুদিন ধরে। তার লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা ও হুমকির মুখে থাকা পরিবেশেএবং সম্প্রদায়ের সাহায্যে কাজ করে থাকে।
গত সপ্তাহে গ্রেটাকে পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কারে ভূষিত করেছিল নরডিক কাউন্সিল। কিন্তু, জলবায়ু আন্দোলনে পুরস্কার নয়, মানুষের কথা শোনা দরকার উল্লেখ করে সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে এই কিশোরী।
লিওনার্দো বলেন, বিশ্বনেতাদের কাছে গ্রেটার বার্তা হচ্ছে সেই সতর্কবাণী যে, এ বিষয়ে কিছু না করার সময় শেষ হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে গ্রেটা থানবার্গ। ওই সময় সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার দাবিতে একা একাই আন্দোলন শুরু করে স্কুলপড়ুয়া মেয়েটি। ধীরে ধীরে তার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। গ্রেটার ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষ। গত সেপ্টেম্বরে তাকে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এমনকি, তার নাম উঠে আসে শান্তিতে সম্ভাব্য নোবেলজয়ীদের তালিকাতেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
একে