কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫০ ইউনিট পর্যন্ত দূষণমাত্রাকে বসবাসের উপযোগী মনে করা হয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ইপিসিএ)।
দিল্লির আশপাশের শহরগুলোরও একই অবস্থা। গত দু’দিনে পশ্চিম দিল্লির ধীরপুরে ৫০৯ ইউনিট, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৯১ ইউনিট, নয়দা, ঝাজিয়াবাদ ও গুরগাঁওয়ে ৪০০ থেকে ৭০০ ইউনিট পর্যন্ত ওঠানামা করেছে একিউআইয়ের মাত্রা। নয়দাতেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, দিল্লিতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয়রা। ইপিসিএ বলছে, চলতি বছরে এই প্রথম দিল্লি সর্বোচ্চ সতর্কতার মাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। কেবলমাত্র তুমুল বৃষ্টিই পারে পরিবেশ কিছুটা বসবাসের উপযোগী করতে।
দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু অনুযায়ী সামনেই শীতকাল। শুষ্ক জলবায়ুর প্রভাবে এসময় বৃষ্টি এসব অঞ্চলে কম হওয়ায় দিল্লি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ধোঁয়াশা পাল্লা দিয়ে বাড়ে। কিন্তু, শীতের সামান্য বৃষ্টিপাতে দূষণের কোনো তারতাম্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
দিল্লির দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অদূরে থাকা আগ্রার তাজমহলের শ্বেত-মার্বেল পাথরের দেয়াল। তাজমহল দেখতে আসা পর্যটকদেরও মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে দীপাবলি উৎসবের বাজি পোড়ানোর পর দিল্লির পরিবেশদূষণ আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইপিসিএ। পাশাপাশি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকদের ফসল কাটাকেও দায়ী করা হচ্ছে দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে।
বছরের এ সময়টায় ঘরে ফসল তোলার সময় মাঠে পড়ে থাকা আবর্জনা ও জঞ্জাল পুড়িয়ে ফেলেন কৃষকেরা। শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় মাঠে ফসল পুড়িয়ে পরবর্তী চাষের উপযোগী মাঠ তৈরি করেন তারা।
মৌসুমী বায়ুর কারণে বাতাস এসময়টায় হরিয়ানা ও পাঞ্জাব থেকে দিল্লির দিকে আসে। এতে বিষাক্ত ধোঁয়ায় দিল্লির বায়ু আরও বাজে আকার ধারণ করে বলে এর আগেও বহুবার সতর্ক করেছে ইপিসিএ।
এ বিষয়ে সমাধানে আসতে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার তাগাদা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্কুলে মাস্ক বিতরণের সময় তিনি সরাসরি দিল্লির পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলার জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
কেএসডি/