রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানী তেহরানে ‘ইরানে মার্কিন দূতাবাসে জিম্মি ঘটনা’র ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন খামেনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নেতা জানান, ওয়াশিংটন অযৌক্তিকভাবে নিজের খেয়ালেই চলে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়ার অর্থ তেহরানের নতি স্বীকার করা। যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞায় ইরান অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েনি। কিন্তু আলোচনায় যাওয়া মানেই ওয়াশিংটনকে প্রশ্রয় দেওয়া।
খামেনি আরও বলেন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বারবার বৈঠকে বসেও পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। এ এক ধরনের উপহাস ছাড়া কিছুই নয়। তারা বলবে, আলোচনায় সমঝোতা করতে চায়, কিন্তু শেষমেশ ফলাফল কিছুই আসবে না।
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে নেতা আরও বলেন, যারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একবার বৈঠকেই সমাধান খুঁজছেন, তারা ভুল করছেন।
২০১৫ সালের জুনে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক এক পরমাণু চুক্তি করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী রাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স। এতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে নিরুৎসাহিত করা হয় তেহরানকে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিকে মানতে নারাজ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে গত বছরের মে মাসে ইরানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেশটির ওপর একের পর এক কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এ অবস্থায় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে সমঝোতায় যেতে বারবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হলেও তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
কেএসডি/এইচজে