সোমবার (৪ নভেম্বর) ইরানের নৌবাহিনী কমান্ডারের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাদি জানান, প্রযুক্তিগতভাবে অনেক উন্নত হয়েছে ইরান।
ইরানের সুবিধা হলো সবচেয়ে কম খরচে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন করা যায়। পার্শ্ববর্তী ১২টি দেশের সঙ্গে ইরানের যৌথ সমুদ্রসীমা আছে। এর মানে, প্রতিবেশী দেশগুলোর ৮০ শতাংশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা রয়েছে দেশটির।
ইরানের কাঁচামাল ও খাবার পরিবহনের প্রধান উৎস সমুদ্রপথ। একটি চার লাখ টন পণ্য পরিবহন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ ২০ হাজারটি ২০ টন পরিবহন ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাকের সমান। নৌ কমান্ডারের তথ্য অনুযায়ী, পণ্য পরিবহনের নয়টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের মধ্যে দু’টি ইরানের মধ্য দিয়ে গেছে।
বিশ্বের সংরক্ষিত খনিজ সম্পদের অধিকাংশই রয়েছে পারস্য উপসাগরে। ওই অঞ্চলেই বিশ্বের ৬০ শতাংশ তেল ও ৪৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে।
খানজাদি জানান, রাশিয়ার পর কাস্পিয়ান সাগরের সবচেয়ে বড় নৌবহর ইরানের। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় নৌবহরও তাদের। একবার জ্বালানি দিলেই সেটি গোটা বিশ্ব একবার ঘুরে আসার সামর্থ্য রাখে।
চীন ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদল এখন ইরানে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে যৌথ সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ইরানি নৌবাহিনী কমান্ডার।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এফএম/