বুধবার (৬ নভেম্বর) ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে এমন তথ্যই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর আন্দামান সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া বুলবুল আঘাত হানবে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বুলবুল। যার জেরে আগামী ৭ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতাসহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন মাত্রায় বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তবে দিক পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে ধাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ৯০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আবহাওয়া বার্তায়। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে জেলেদের মাছ ধরায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ভারতের দিকে ধেয়ে আসে ঘূর্ণিঝড়ে ‘কিয়ার’। সেসময় কর্ণাটক ও গোয়া রাজ্যসহ এর আশপাশের এলাকায় জারি করা হয়েছিল জরুরি সতর্কতা। তবে বড় ধরনের আশঙ্কা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি শক্তিশালী সেই ঘূর্ণিঝড়টি।
কিয়ারের পর গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকেই আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় ‘মহা’। সেসময়ও জারি করা হয় সতর্কতা। তবে শেষ পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারেনি মহাও। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মহা। তবে ওই দুই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু এবারের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশও।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএ/