মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ মানুচিন বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কারাকাসের বিরুদ্ধে নেওয়া এখন পর্যন্ত সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বিবৃতিতে বলেছে, ভেনেজুয়েলার যে পাঁচ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বা কানাডার নিষেধাজ্ঞার জন্য আগেই লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদুরোর সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে বিরোধীদের ওপর হামলায়ও তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
যদিও এসব অভিযোগের বিষয়ে ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক বিভাগের উচ্চপর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে এও বলা হয়, ভেনেজুয়েলার ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট’ নিকোলাস মাদুরোর নিপীড়নমূলক সরকারের পক্ষে কাজ করা শীর্ষ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। যারা দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক পর্যায়ে জড়িত রয়েছেন।
অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদোকে দেশটির ‘বৈধ রাষ্ট্রপতি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মাদুরোকে পদত্যাগ করার জন্য ভেনেজুয়েলার সরকার এবং তার রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থার ওপরও অর্থনৈতিক শাস্তি ব্যবহার করে আসছে দেশটি।
নির্বাচনে কারচুপি এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে বসেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
টিএ