বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গত শনিবার (২ নভেম্বর) মাছ ধরার নৌকায় সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে ওই দুইজন।
দক্ষিণ কোরীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আটক দুই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তারাসহ মোট তিনজন মিলে গত অক্টোবরে কর্কশ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে সমুদ্রে তাদের ক্যাপ্টেনকে হত্যা করেন। এর প্রতিবাদ করায় একে একে ১৬ সহকর্মীকে হত্যা করেন তারা। নিহতদের সমুদ্রের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তারা।
হত্যাকারী তিনজন উত্তর কোরিয়ায় তাদের আবাসস্থলে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, স্থানীয় পুলিশের হাতে একজন আটক হলে অপর দু’জন দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সাধারণত, উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলে তাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও এবার এই দুই জেলের ক্ষেত্রে সেটি হচ্ছে না।
দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা জানান, আটক দুই জেলেকে আশ্রয়প্রার্থীর বদলে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পানমুনজম গ্রামের সীমান্ত দিয়ে তাদের উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।
পানমুনজম সীমান্ত দিয়ে এটিই প্রথম উত্তর কোরীয় কোনো নাগরিককে সিউলের কাছে হস্তান্তরের ঘটনা।
উত্তর কোরিয়ার একনায়কতান্ত্রিক শাসনের হাত থেকে প্রায়ই দেশটির নাগরিকরা দক্ষিণ কোরিয়াতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এরূপ মোট ১ হাজার ১২৭ জন উত্তর কোরীয় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এবি/একে