ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

টানাহেঁচড়ার পর সড়কেই কেটে দেওয়া হলো মেয়রের চুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
টানাহেঁচড়ার পর সড়কেই কেটে দেওয়া হলো মেয়রের চুল

খালি পায়ে রাস্তায় টেনে এনে মেয়রের গায়ে মেখে দেওয়া হয় লাল রং। এরপর সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের আচরণ ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত! তাকে নতজানু হতে বাধ্য করার পর সড়কেই জোর করে কেটে দেওয়া হয়েছে মাথার চুল।

সম্প্রতি বলিভিয়ার একটি শহরের মেয়রের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

খবরে বলা হয়, মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম (ম্যাস পার্টি) পার্টির পাত্রিসিয়া আরসে নামের ওই মেয়রকে ঘণ্টাখানেক পর ভিনতো শহরের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বলিভিয়ায় অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে যাওয়া আন্দোলনে সরকারপক্ষ-বিরোধীদের অসংখ্য সংঘাতের মধ্যে এটি সর্বশেষ। ইতোমধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

বলিভিয়ার কোচাবাম্বা প্রদেশের ছোট্ট শহর ভিনতো। দেশটিতে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়া বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিবাদে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অবরোধ করে রাখা হয়েছে ভিনতো শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। অবরোধের সময় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জন বিরোধী আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিরোধীরা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় লিমবার্ট গুজম্যান ভাসকুয়েজ নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য তারা মেয়র আরসেকে দোষারোপ করতে থাকেন। তারা মেয়রকে উদ্দেশ্য করে ‘হত্যাকারী’, ‘হত্যাকারী’ স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় মুখোশ পরিহিত এক আন্দোলনকারী মেয়রকে খালি পায়ে রাস্তায় টেনে নিয়ে আসেন। তারা তাকে নতজানু হতে বাধ্য করেন। এরপর কেটে দেওয়া হয় মাথার চুল, শরীরে মেখে দেওয়া হয় লাল রং। আন্দোলনকারীরা তাকে পদত্যাগপত্রে সই করার জন্যও চাপ দিতে থাকে। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় মেয়রকে। সেখান থেকে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

২০ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর থেকে সরকারপক্ষ-বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হওয়া তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন ভাসকুয়েজ।

নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। দেশটির নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের গণনা অনুযায়ী, মোরালেস পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কার্লোস মেসা পেয়েছেন ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট।

এদিকে ২০০৬ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইভো মোরালেসের এ জয়কে মেসা ‘বড় ধরনের জালিয়াতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।