রোববার (১০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এ দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দাবানলের দ্বিতীয় দিনে কর্মকর্তারা জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, দাবানলে একশ’ স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩শ’ দমকলকর্মীকে সহযোগিতা করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো হবে। আগুনে যাদের পরিবারের সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি শোকপ্রকাশ করছি।
এদিকে, আগুন নেভাতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন হাজারও বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া, কুইন্সল্যান্ডে হাজারও মানুষ রাত কাটিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
নিউ সাউথ ওয়েলসে ১৫০টির বেশি বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। ঝড়ো বাতাস ও ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশেষ করে খরা কবলিত এলাকায় দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
শনিবার নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার সার্ভিস কমিশনার শেন ফিজসিমন্স বলেন, আগামী সপ্তাহেও দাবানল খুব একটা কমবে না। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে গ্রীষ্মকালে দাবানল অব্যাহত থাকতে পারে।
দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে এক হাজার কিলোমিটার এলাকায়। ইতোমধ্যে এলাকা ছাড়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে স্থানীয়দের।
নিউ সাউথ ওয়েলসে গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত হাজার খানেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেছেন দু’জন।
গত সপ্তাহে এক দাবানলে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। এতে হাজার হাজার বন্যপ্রাণী- বিশেষ করে অসংখ্য কোয়ালা মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্লেন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, বৃষ্টি না থাকায় খরাপ্রবণ এলাকায় আগুন সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এফএম