ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘মসজিদ অবৈধ হলে আদবানির বিচার হয়েছিল কেন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
‘মসজিদ অবৈধ হলে আদবানির বিচার হয়েছিল কেন’ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ অবৈধ জায়গায় নির্মিত হলে এটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির বিচার কীসের ভিত্তিতে হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ যদি বৈধ হয়, তাহলে এটি (জমি) যারা ধ্বংস করেছে, কেন তাদের দিয়ে দেওয়া হলো? যদি অবৈধ হয় তাহলে মামলা কেন চললো আর আদবানির বিরুদ্ধে মামলা কেন প্রত্যাহার করা হলো? আর যদি এটা (মসজিদের জমি) বৈধ হয় তাহলে আমাকে দিয়ে দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন> অযোধ্যার জমিতে হবে মন্দির, মসজিদ নির্মাণে আলাদা জায়গা

তিনি বলেন, এটা একটা সাধারণ প্রশ্ন… আমরা বিচার নিয়ে সন্তুষ্ট নই।

বাবরি মসজিদ আমার বৈধ অধিকার। আমি মসজিদের জন্য লড়ছি, জমির জন্য নয়।

এছাড়া, রোববার (১০ নভেম্বর) টুইটারে ওয়াইসি বলেন, মুসলমান কী দেখছে আজ? বহু বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জায়গাটি রাম মন্দিরের এমন বিতর্কিত একটি মতের ভিত্তিতে সেখানে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন> বাবরি মসজিদ বিষয়ে বাড়াবাড়ি নয়: দিল্লির শাহী ইমাম

‘বিকল্প জমি দিয়ে আমাদের অপমান করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে ভিক্ষুকের মতো আচরণ করবেন না… আমরা ভারতের সম্মানিত নাগরিক। (আমাদের) লড়াই বৈধ অধিকারের জন্য। ’

তিনি বলেন, আমরা সুবিচার চেয়েছি, দান নয়। যদি আপনার ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আর আপনি সালিশে যান, বাড়িটি আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না? এটা কি ধ্বংসকারীদের দেওয়া উচিত?

বিজেপি ও আরএসএসের কাছে এখনো একাধিক মসজিদের তালিকা রয়েছে যেগুলো তারা ‘রূপান্তর’ করতে চায় বলে অভিযোগ করেন এআইএমআইএম প্রধান।

৮০র দশকের শেষের দিকে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গা রাম মন্দিরের দাবি তুলে তুমুল আন্দোলন শুরু করেছিলেন এল কে আদবানি। ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে দেওয়া হয়। সেসময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এই দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় এলকে আদবানিসহ অনেকের বিরুদ্ধে। পরে ওই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয় প্রবীণ এই বিজেপি নেতার নাম।

আরও পড়ুন> ‘গুণ্ডামি করে মসজিদটা ভাঙল, আদালত বলল ওখানে মন্দির হবে’

গত শনিবার (৯ নভেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ঐতিহাসিক এ মামলার রায় দেন। রায়ে বলা হয়, বিতর্কিত জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হবে। আর মসজিদ নির্মাণের জন্য শহরের অন্য কোনো জায়গায় মুসলমানদের পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আদবানি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।