মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার নিরাপত্তা সংকটে বন্ধ রয়েছে হংকংয়ের অধিকাংশ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া, অতিরিক্ত তল্লাশির কারণে রেলস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। ফলে, রেল যোগাযোগ বিলম্বিত হচ্ছে বা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চলটিতে অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করেন। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) একজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে পুলিশ। অন্যদিকে, এক ব্যক্তির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। দু’জনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এতে বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংস রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: হংকং বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, আহত ১
সোমবার হংকংয়ের কয়েক ডজন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে জানায়, চলমান বিক্ষোভের কারণে নিরাপত্তা-ঝুঁকি থাকায় মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকবে।
শহরের ইংলিশ স্কুল ফাউন্ডেশন (ইএসএফ) জানায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে মঙ্গলবার ইএসএফের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে।
সহিংসতার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে, মঙ্গলবার সকালে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেন, সহিংসতা সত্ত্বেও সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে না।
পুলিশ জানায়, সোমবার ২৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভের কারণে গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে হংকংয়ে আরও সহিংসতার আশঙ্কা
এদিকে, হংকং বিক্ষোভে উদ্বেগ প্রকাশ করে সব পক্ষকেই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এফএম