বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আইসিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রসিকিউশনের আবেদনে বিচারকরা এই অনুমোদন দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, এটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে যে, ব্যাপকভাবে এবং/অথবা সিস্টেমেটিক সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে, যা মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ির পেছনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকতে পারে।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার কারণ দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে অমানবিক অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসে। প্রায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ আখ্যা দিলেও মিয়ানমার বলছে ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে তাদের অভিযান, কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে নয়।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রয়েছে বলে সিদ্ধান্ত আসে। যার পরেই শুরু হয় প্রাথমিক তদন্ত।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পূর্ণ তদন্ত শুরু করার জন্য আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার একটি আবেদন করেন। বিচারকরা তাতে অনুমোদন দেওয়ায় রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংতার অভিযোগের তদন্তে এটাই হচ্ছে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আদালতের উদ্যোগ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
ইইউডি/এএটি