ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রাজস্থানে ৭ দিনে ১০ হাজার পাখির মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
রাজস্থানে ৭ দিনে ১০ হাজার পাখির মৃত্যু রাজস্থানে অতিথি পাখির মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজস্থানের জয়পুর অঞ্চলের সাম্ভার লেকে বিগত ৭ দিনে অন্তত ১০ হাজার অতিথি পাখির প্রাণহানি হয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, কোনো ধরনের ফ্লু বা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে পাখিগুলো। কারণ উড়ে আসার পরপরই পাখিগুলো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল।

 

তবে রোববার (১৭ নভেম্বর) মৃত পাখিগুলোর দেহে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে বলে জানায় রাজ্যটির সাম্ভার লেক বনাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।  

তারা বলছে, পরিযায়ী এসব পাখির মৃত্যুর কারণ কোনো ফ্লু নয়। পাখিগুলো ‘এভিয়ান বোটুলিজম’ এর শিকার। অর্থাৎ খুবই বিষাক্ত কিছু খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে শীতের দেশ থেকে উড়ে আসা এসব পাখিরা।  

সাম্ভারলেক কর্তৃপক্ষের ধারণা, পানিতে বিষাক্ত কিছু রয়েছে অথবা বিষাক্ত মাছ ও পোকা খেয়ে পাখিগুলো মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।  

প্রতিদিনই অসংখ্য পাখির করুণ মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন বনাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। ভয় দেখিয়েও পাখিগুলোকে সরানো যাচ্ছে না। আর এদের মৃত্যু দেখা ছাড়াও কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।  

মরে যাওয়া পাখিগুলোকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলের ৭০ জন কর্মী। ‘এভিয়ান বোটুলিজম’ এর শিকার যাতে না হয় এবং দুর্গন্ধ ও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আগেই মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, একসঙ্গে হাজার হাজার পাখির মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছে দেশটির হাইকোর্ট। ২২ নভেম্বরের মধ্যে বন কর্তৃপক্ষকে প্রকৃত কারণ জানানোর সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।  

শীতকালে ইউরোপ ও মেরু অঞ্চলে যখন তুষারপাত শুরু হয় তখন বরফে ঢেকে যায় চারপাশ। মাছ খেয়ে বেঁচে থাকা পাখিগুলো খাদ্যের সন্ধানে তখন উড়ে আসে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ এদিকের দেশগুলোতে। বরফ গলতে শুরু করলে আবার পাড়ি জমায় নিজদেশে। রাজস্থানের সাম্ভার লেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার পাখি আসে। এসময় অতিথি পাখিদের দেখতেই সাম্ভারলেক বনাঞ্চলে ছুটে আসেন অনেক পর্যটক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
কেএসডি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।