রোববার (১৭ নভেম্বর) উত্তর প্রদেশের লখনৌতে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) এবং মুসলিম ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানায়।
এআইএমপিএলবি’র পক্ষে সৈয়দ কাসিম ইলিয়াস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দৃশ্যমান ত্রুটি আছে এবং আমরা অনুভব করছি, এর জন্য রিভিউ আবেদন করাই বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে।
সংগঠনটির সেক্রেটারি জাফারইয়াব জিলানি বলেন, এটি সাধারণ কোনো জমির বিষয় নয়। এটি আমাদের ধর্মীয় স্থান রক্ষার সাংবিধানিক অধিকার।
এর আগে ৯ নভেম্বর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জায়গায় ‘রামের জন্মস্মৃতি রক্ষায়’ একটি মন্দির তৈরি করা হবে এবং এর তত্ত্বাবধানের জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করা হবে।
অপর দিকে, মুসলমানদেরকে এর পরিবর্তে শহরের অন্য স্থানে মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথা রায়ে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে মুসলিম গোষ্ঠীগুলো মসজিদ তৈরির জন্য নতুন জমি গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অবশ্য মামলার প্রধান মুসলিমপক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রিভিউ আবেদন না করার কথা জানিয়ে বলেছে, আদালতের রায়ের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে।
২.৭৭ একরের এ স্থানটি নিয়ে ভারতের স্বাধীনতার আগে থেকেই হিন্দু-মুসলমানদের বিরোধ চলে আসছে। ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের আমলে এখানে মসজিদ নির্মিত হয়। কিন্তু সেই বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর গুঁড়িয়ে দেয় হিন্দু মৌলবাদীরা।
এদিকে মুসলিম সংগঠন দু’টির রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনা করছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন।
রাম জন্মভূমি ন্যাসের প্রধান নৃত্য গোপাল দাস বলেন, রামমন্দির তৈরির জন্য আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। মন্দির তৈরিতে দেরি করানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে এ রিভিউ পিটিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিশ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এবি/এইচএ/