শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক সহিংস রূপ নেয়।
নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাকের নাসিরিয়া শহরে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার সময় অন্তত ২৩৩ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভস্থানে গোলাবারুদ ও কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার ছুড়লে, ওই শহরে অন্তত ৩৩ বিক্ষোভকারী নিহত হন। অন্যদিকে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শিয়াদের পবিত্র শহর নাজাফে ১১ বিক্ষোভকারী নিহত হন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিক্ষোভকারীরা নাজাফে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগেই সরিয়ে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে, এ হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পরে নাজাফে কারফিউ জারি করা হয়।
‘রক্তের বন্যা বইয়ে দেওয়া জন্যে’ নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করেন ৩২ বছর বয়সী আইনজীবী হুসেইন। তিনি বলেন, গত চারদিন ধরে আমরা নাসিরিয়ায় সড়ক ও ব্রিজ অবরোধ করে রেখেছিলাম। নিরাপত্তা বাহিনী ব্রিজ থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
হুসেইন বলেন, নাসিরিয়ায় যা হচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। এতোটা সহিংসতা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। জনগণ আক্রোশে ফেটে পড়ছে। চরম অন্যায়ভাবে আমাদের ভাইদের মেরে ফেলা হলো। কিন্তু এই সহিংসতা আমাদের দমাতে পারবে না। আমাদের দাবি আদায় ও ভাইদের হত্যার বিচার চেয়ে আরও অনেকে রাস্তায় নামবে।
নাসিরিয়ায় ব্যাপক সহিংসতার মুখে মাত্র একদিন আগে ধি কার প্রদেশে নিযুক্ত সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিল আল- শাম্মারিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর কর্মসংস্থানের সুযোগ, দুর্নীতির অবসান ও উন্নত সেবার দাবিতে ইরাকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৬০ জনেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার। প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরবর্তীকালে তা ব্যাপক সহিংস রূপ নিয়েছে। নিম্নবিত্তরা এ বিক্ষোভ শুরু করলেও গত কয়েক সপ্তাহে যোগ দিয়েছেন মধ্যবিত্তরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এফএম