শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞার জবাব দিতে স্বল্প পাল্লার দু’টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করে ‘থ্যাংকসগিভিং ডে’র শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে দেশটির উত্তর পূর্ব উপকূলে রায়নপো থেকে সাগরের দিকে দু’টি মিসাইল ছোড়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জিসিএস) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের আচরণ কোরীয় উপদ্বীপে চলমান সঙ্কট মোকাবিলা করতে একেবারেই সহায়ক নয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিঞ্জো এক বিবৃতিতে বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকাণ্ড এই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য এক ধরনের হুমকি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবো। জাপানের মানুষের নিরাপত্তা ও জনসম্পদ রক্ষা করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করবো আমরা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। এ কারণে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র জানায়, উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে নিরস্ত্রীকরণের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে, বার্তা দেওয়ার জন্য মিসাইল উৎক্ষেপণ করা নতুন নয় উত্তর কোরিয়ার জন্য। ২০১৭ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ছুটির দিনে একটি বার্তা দিতে সেদিন প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এফএম