শুক্রবার এক রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে এ অনুরোধ জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কনজারভেটিভ পার্টির বরিস জনসনের ব্যাপারে ট্রাম্পের বিশেষ পক্ষপাত বিভিন্ন সময় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যে কোনোভাবে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার চুক্তি- ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের প্রতি ট্রাম্পের উস্কানি রয়েছে বলেও অনেকের অভিযোগ। সব মিলিয়ে ব্রিটেনে ব্যাপক অজনপ্রিয় ট্রাম্প।
চলতি বছরের অক্টোবরেও ট্রাম্প ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন দেশটির জন্য ‘খুব খারাপ’প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে বরিস জনসনকে দারুণ এক প্রধানমন্ত্রী বলে অভিহিত করেন তিনি।
সব মিলিয়ে আসন্ন যুক্তরাজ্য নির্বাচনে বরিস জনসনের পক্ষে ট্রাম্প 'আগ বাড়িয়ে নাক গলানোর চেষ্টা' করতে পারেন বলে অনেকের আশঙ্কা। এসব প্রসঙ্গে শুক্রবার রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরিস বলেন, এটি সবচেয়ে ভালো যদি আগামী সপ্তাহে ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে লন্ডন সফরে আসা ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারে কোনোভাবে না জড়ান।
'বন্ধু বা মিত্র হওয়া সত্ত্বেও ঐতিহ্যগতভাবেই আমরা একে অপরের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে জড়াই না। ঘনিষ্ঠ মিত্র যেমন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো একে অপরের নির্বাচনে না জড়ানো। '
শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তাও জানান, অন্য কোনো দেশের নির্বাচনে না জড়ানোর ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প অবহিত।
এদিকে নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে ট্রাম্পের আসন্ন ব্রিটেন সফর নিয়ে উদ্বিগ্ন জ্যেষ্ঠ কনজারভেটিভ নেতারাও। সফরকালে ট্রাম্প কনজারভটিভ পার্টি বা বরিসের পক্ষে কিংবা বিরোধীদের নিয়ে বেফাঁস কোনো মন্তব্য করলে বিরোধীরা তা তাদেরই বিরুদ্ধে কাজে লাগাবে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
অন্যদিকে লেবার পার্টিও সম্ভবত ট্রাম্পের এ সফরকে কনজারভেটিভ দলের বিরুদ্ধে প্রচারণায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এইচজে