রোববার (০১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, শনিবার (৩০ নভেম্বর) ইতালির কেন্দ্রীয় ফ্লোরেন্সে তরুণদের নেতৃত্বে ‘সার্ডিন মুভমেন্ট’ এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত র্যালিতে অংশ নেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
আয়োজকদের দাবি, বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ। বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী, তরুণ কর্মজীবী, শিশুসহ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন এ বিক্ষোভে। কেন্দ্রীয় ফ্লোরেন্সের পিয়াৎসা দেলা রিপাবলিকায় জড়ো হয়ে চিৎকার করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ইতালির ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ‘বেলা চাও’ গান তারা।
বিক্ষোভে রাজনৈতিক দলের প্রতীক বা ব্যানার বহন নিষিদ্ধ ছিল। বিক্ষোভকারীরা সার্ডিন মাছের আকৃতিতে তাদের নিজস্ব ব্যানার তৈরি করেন।
দেশটিতে সম্প্রতি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে সার্ডিন মুভমেন্ট। উগ্রবাদী মতাদর্শের বিরুদ্ধে একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে সার্ডিন মাছ। বড় আকারের শত্রু মোকাবিলায় সার্ডিন মাছেরা দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে। চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর চার তরুণ ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের বলোনে শহরে সালভিনির রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরুদ্ধে এই মুভমেন্ট শুরু করেন। গত ১৫ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ১০টি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত ইতালির সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিরোধী কট্টর ডানপন্থিদের জোট। ইইউভুক্ত কোনো দেশের প্রায় অর্ধেক ভোটার নির্বাচনে এ জোটবিরোধীদের পক্ষে রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। তবে জোটের দ্বিতীয় শক্তি লিগ পার্টির নেতা উপ প্রধানমন্ত্রী মাতেও সালভিনির সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ২০১৯ সালের আগস্টে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে। কিন্তু পরবর্তীকালে নতুন সরকারেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান গুইসেপ কন্তে। তবে সরকার থেকে ছিটকে পড়েন মাতিও সালভিনি। আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ইতালির স্থানীয় নির্বাচনে সালভিনির কট্টরপন্থি রাজনৈতিক মতাদর্শের জয় রুখে দিতে তৎপর সার্ডিন মুভমেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এফএম