সোমবার (০২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, সামোয়ায় হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে একশ’রও বেশি মানুষ। প্রায় দুই লাখ জনসংখ্যার দ্বীপটিতে এখন পর্যন্ত হাম আক্রান্ত হওয়ার তিন হাজার সাতশ’রও বেশি কেস রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার (০১ ডিসেম্বর) ও সোমবার এ দু’দিনেই নতুন করে যুক্ত হয়েছে একশ’ ৯৮টি কেস।
বিশ্বজুড়ে হামের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। হামের টিকা দিলে অটিজিম হতে পারে এমন আশঙ্কায় শিশুদের টিকা দিচ্ছেন না অনেক অভিভাবক। এ কারণে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছরের অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিওএইচও) এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে সতর্ক করে জানায়, এ বছরের প্রথম তিন মাসে হাম আক্রান্তের কেস তিনশ’ শতাংশ বেড়েছে। আশঙ্কা রয়েছে এটি মহামারী রূপ নিতে পারে।
ডব্লিওএইচও’র তথ্যমতে, সামোয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩১ শতাংশের হামের টিকা দেওয়া আছে। এ কারণে বাড়ছে এ রোগের প্রাদুর্ভাব। গত ২০ নভেম্বর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ অন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় দেশটিতে হামের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার একশ’ ৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাসজনিত একটি রোগ হাম। হাঁচি-কাশিসহ নানাভাবে দ্রুত সংক্রমিত হয় এটি। তাই বর্তমানে সামোয়ার সব স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে লোক সমাগমের সব স্থান।
ওশেনিয়া মহাদেশের টোঙ্গা ও ফিজি দেশ দু’টিতেও হাম সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তবে, এখনো কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, ওই দু’টি দেশের অধিকাংশ মানুষের হামের টিকা দেওয়া রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এফএম