শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) এ দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফোনালাপের বিষয়টি জানায় সিউল।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার কোনো গতি না হওয়া এবং এ নিয়ে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত হুমকির মুখে এ ফেনালাপ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করছে- এমন তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল ব্লু হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, দুই নেতা আলাপের সময় কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি ‘তীব্র’ আকার ধারণ করেছে এ বিষয়ে একমত হন। প্রত্যাশিত সমাধানে পৌঁছাতে তারা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার অব্যাহত রাখা উচিত বলে মনে করেন। একমত হন এ বিষয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত পরামর্শ করার বিষয়েও।
সংকটের সমাধানে উত্তর কোরিয়ার দেওয়া সময়সীমা নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। যেখানে দেশটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিকল্পনা পরিবর্তনের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বলা হয়, যদি পরিকল্পনার পরিবর্তন করা না হয় তবে শীর্ষ নেতা কিম জং উন ‘ভিন্ন পথ’ অবলম্বন করবেন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে উপর্যুপরি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করার পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং উনের মধ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালের ১২ জনু বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, এ বুঝি চিরবৈরী দেশ দুটির সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রত্যাশামতো ফল মেলেনি বৈঠক থেকে। পরে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে মিলিত হন তারা। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের এ সম্মেলন শেষ হয় কোনো সমাধান ছাড়া। এরপর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে কোনো আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এইচএডি/