বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দ বলেন, ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর ও মানু জেলায় দুই দল এবং আসামের বঙ্গাইগাঁও জেলায় এক দল সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেক দলে অন্তত ৭০ জন করে সদস্য রয়েছেন। যার নেতৃত্বে রয়েছেন এক বা দু’জন অফিসার।
একইসঙ্গে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকেও পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া আসামের ডিব্রুগড় জেলায় পাঠানো হয়েছে পুলিশের জরুরি রেসপন্স টিমের সদস্যদের।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিল উত্থাপন করলে এর পক্ষে ভোট পড়ে ৩৩৪টি। আর বিপক্ষে পড়ে ১০৬টি।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রস্তাবিত বিলটি অনুমোদন পেয়েছিল ভারতীয় মন্ত্রিসভায়।
বিলটি ঘিরে ইতোমধ্যেই উত্তপ্ত দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো। এই বিলের ফলে বহুসংখ্যক অবৈধ বসবাসকারী নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে রাজ্যগুলো।
এছাড়া সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, বিলটি পাস হওয়ার কারণে পাল্টে যাবে দেশের জনবিন্যাসের ধরন। কমে যাবে কাজের সুযোগ। একইসঙ্গে হ্রাস পাবে নিজস্ব সংস্কৃতিও।
বিলটিতে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান অবৈধ অভিবাসীদের যাতে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া যায়, এ হিসেবেই এ সংশোধনী।
আরও পড়ুন
***‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস
***নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসএ/