বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, এক খোলা চিঠিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) প্রত্যাহার করতে মোদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়সহ ছয় শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি।
ওই খোলা চিঠিতে তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের জনগণ সংবিধানে আস্থা রেখে এসেছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-শ্রেণি-ভাষা নির্বিশেষে সাম্য প্রতিষ্ঠায় জোর দেওয়া হয়েছে সংবিধানে। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-২০১৯ অসাম্প্রদায়িক ভারতের রূপ, যা ভারতের স্বাধীনতার পেছনে মূল অবদান রেখেছে, তা ছিন্নভিন্ন করে দেবে। এটি শুধু একটি আইন বদলাবে না, গোটা ভারতের চরিত্রই বদলে দেবে।
চিঠিতে সংবিধান পরিপন্থি বৈষম্যমূলক ও সাম্প্রদায়িক এ বিল প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তারা।
পড়ুন>>আসাম-ত্রিপুরায় সেনাবাহিনী মোতায়েন
এছাড়া, আরেকটি খোলা চিঠিতে ভারত ও অন্য দেশের এক হাজার ৪৭ জন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ বিলটি জরুরি ভিত্তিতে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। এ বিল অনুযায়ী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান’ পরিপন্থি এ বিল দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করবে।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার উদ্দেশ্যে বিলটি প্রণীত হয়েছে। সংশোধিত বিল অনুযায়ী, এসব ধর্মের লোকজন, যারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের কারাবন্দি বা বিতাড়িত করা হবে না। ভারতে ছয় বছর বসবাসের পর স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবেন তারা।
সোমবার ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিল উত্থাপন করলে এর পক্ষে ভোট পড়ে ৩৩৪টি এবং বিপক্ষে পড়ে ১০৬টি। অনুমোদনের জন্য বিলটি এবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাঠানো হবে।
ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এফএম