বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শেষ দিনের শুনানিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলে গাম্বিয়া।
২০১৭ সালে রাখাইনে অবর্ণনীয় নৃশংসতা চালানো হয়।
এ আইনজীবী আরও বলেন, ২০১৮ সালে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণসহ বিস্তারিতভাবে রোহিঙ্গা গণহত্যা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় হলো, সু চি সে দাবি খণ্ডন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মিয়ানমার তা প্রত্যাখ্যান করতে পারেনি।
রাখাইনে সেনা অভিযানকালে প্রচুর রোহিঙ্গা নারী গণধর্ষণের স্বীকার হন। অথচ সু চিকে সারাটা সময় সে ব্যাপারে নিরাসক্ত থাকতে দেখা গেছে। এই নিরাসক্তিকে অভিযুক্ত করে গাম্বিয়ার আরেক আইনজীবী ফিলিপ্পে স্যান্ডস বলেন, বক্তব্যের সময় সু চির মুখ দিয়ে একবারও ‘ধর্ষণ’ কথাটি বেরিয়ে এলো না। কিংবা একবারও তার মুখে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারিত হলো না। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কথা বলতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কেবলই মুসলিম হিসেবে তুলে ধরেছেন।
এরই সূত্র ধরে সু চির অবস্থানকে ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে ভর্ৎসনা করে এ আইনজীবী বলেন, ম্যাডাম এজেন্ট আপনার বক্তব্যের চেয়ে নীরবতাই বরং বেশি কথা বলে।
এদিকে মিয়ানমারের পক্ষে যুক্তিতর্ক দিতে উঠে আদালতকে গাম্বিয়ার গণহত্যা মামলা খারিজ করে দেওয়ার আহ্বান জানান সু চি। এ গণহত্যা মামলা রোহিঙ্গা সংকটকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে বলে সতর্কতা জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারে বিভিন্ন ক্যাম্পে এখনও বিপুল রোহিঙ্গা আছে। সেগুলোতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদু বলেন, পুনরায় ভয়াবহ ও গুরুতর গণহত্যার আশঙ্কা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে। আদালতের কাছে জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন>>গণহত্যা মামলা রোহিঙ্গা সংকট পুনরুজ্জীবিত করতে পারে: সু চি
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এইচজে