শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পশ্চিমবঙ্গ আইনটির বাস্তবায়ন ‘কোনো পরিস্থিতিতেই’ মেনে নেবে না জানিয়ে ধারাবাহিক এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর কারফিউ ভেঙে মিছিল হয়েছে আসামে। সেখানে পুলিশ গুলি ছুড়লে নিহত হন অন্তত ৩ বিক্ষোভকারী।
মমতা বলেন, আমরা এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন বাংলায় কখনো কার্যকর করতে দেবো না। একইসঙ্গে আমরা এখানে সংশোধিত এ নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন করবো না যদিও তা পার্লামেন্টে পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন>> নাগরিকত্ব বিল: গুয়াহাটিতে পুলিশের গুলিতে নিহত ৩
‘এ নাগরিকত্ব আইন ভারতকে বিভক্ত করবে। যতক্ষণ আমরা ক্ষমতায় আছি, রাজ্যের একজনকেও দেশ ছাড়তে হবে না। ’
তৃণমূলের জেলা শাখাগুলো পুরো ডিসেম্বরজুড়ে প্রতিবাদ র্যালিগুলোর আয়োজন করবে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ফুঁসে উঠেছে আসাম। সেখানে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়েও অস্থিরতা রুখতে কিছু অংশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা।
ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে (সিএবি) দেশটির রাষ্ট্রপতি সই করার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন>> এবার শিলংয়ে কারফিউ, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
বিলটিতে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এইচএডি/