শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিলটিতে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি প্রকৃতিগতভাবেই বৈষম্যমূলক। এ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি জানায়, সমতার ভিত্তিতে ভারত নতুন আইন করতে পারে। কিন্তু বৈষম্যমূলকভাবে নয়।
ওই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনটি মৌলিক চরিত্রের দিক দিয়েই বৈষম্যমূলক এবং এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জানি যে, এই আইনের বৈধতা ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং আমাদের আশা মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে ভারতের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে নাগরিকত্ব আইনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ’
এদিকে ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব আইন পাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মানুষ। এ বিক্ষোভে ভারতের গুয়াহাটিতে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএ/