ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্নৌর নাদওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাইরে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটকে দিয়ে প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এমনকি জুতাও নিক্ষেপ করে।
এদিকে আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন শার্ট খুলে খালি গায়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছেন জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি শারদ অরভিন্দ ববদে বলেন, ‘দাঙ্গা অবশ্যই বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে’।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এবং কলিন গঞ্জালে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তার প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখতে এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পাঠিয়ে ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে। একইসঙ্গে তিনি বিষয়টি ‘মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলেও মন্তব্য করেন।
এর আগে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিল্লিতে পুলিশ ও জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর প্রদেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও (এএমইউ) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দুটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
ওই ঘটনার পর জামিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, দ্যা বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেন। এছাড়া জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিল্লিতে পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাতভর অবস্থান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
জেডএস