এছাড়া, শুক্রবার দিল্লির বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ আটক হওয়ার পর পালালেও শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে তাকে ফের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার বিকেলে দিল্লির দারিয়াগঞ্জ এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।
যদিও লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের দাবি, বিক্ষোভ দমাতে ‘সামান্য শক্তি’ ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য অসংখ্য মানুষ জামে মসজিদ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। নামাজের পর তারা জন্তর মন্তরের দিকে পদযাত্রা করার চেষ্টা করলে আমরা তা প্রতিহত করি। কারণ, ওই জায়গায় এক হাজারের বেশি মানুষ ধরবে না, তাছাড়া জমায়েতের অনুমতিও ছিল না।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অনুরোধে জামে মসজিদ থেকে সরে গেলেও ফের দিল্লি গেটে গিয়ে জড়ো হতে থাকেন। সেখানেও ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেওয়া চেষ্টা করা হয়।
এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাতে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করেন ও আন্দোলনের চেষ্টা করেন। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়জনে।
তবে উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবি, তাদের গুলিতে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, পারসি) অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন আইনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
একে