আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ‘উইথড্রয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট বিল’ উত্থাপনের পর ৩৫৮-২৩৪ ভোটে তা পাস হয়।
পার্লামেন্টে বরিসের কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বিল পাস হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল আগে থেকেই।
ব্রেক্সিটের চেয়েও ভালো পথ আছে জানিয়ে করবিন বিলটির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে তার সঙ্গে একমত হননি নিজ দলেরই ছয় সদস্য, তারা ভোট দিয়েছেন বিলের পক্ষেই।
বিল পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইটবার্তায় বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে ব্রিটেন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
নিম্নকক্ষে বিল পাসের পর এবার এটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে। আগামী ৭-৯ জানুয়ারি বিলটি উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে পাস হলে আইনে পরিণত হবে। সরকার পক্ষ বলছে, বিলটিকে ৩১ জানুয়ারির আগেই আইনে পরিণত করবেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ২০২০ সালের মধ্যেই নতুন বাণিজ্য চুক্তি করা সম্ভব। যদিও এটিকে একেবারে অবাস্তব বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
এর আগে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আহ্বানে গত ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয় তার দল কনজারভেটিভ পার্টি।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়েনের জেরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগ করার পর সাধারণ নির্বাচন ছাড়াই কনজারভেটিভ পার্টি বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। এরপর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমেও ক্ষমতায় বহাল থাকলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণায় বরিসের স্লোগানই ছিল ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ বা ব্রেক্সিট সম্পন্ন করো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
একে