গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল দারিয়াগঞ্জ। ঠিক ওই এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে রামলীলা ময়দানে রোববার আয়োজন করা হচ্ছে মোদীর ধন্যবাদপ্রাপ্তি সমাবেশ।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ছেঁয়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।
ময়দানের চারপাশে বসানো হয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। মোদীর যাওয়া-আসার পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উঁচু ভবনে থাকবে স্নাইপাররা। এছাড়া, নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে বিজেপির স্বেচ্ছাসেবী নেতাকর্মীরাও।
এদিকে, নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভ বিষয়ে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা বৈঠক করেছেন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটর করবে সরকার। বিশেষ করে বিক্ষোভের পোস্ট বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তুর’ প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করা হবে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, পারসি) অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
একে