ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মৃত্যুর মিছিলে মোদি নির্বিকার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
মৃত্যুর মিছিলে মোদি নির্বিকার!

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত ২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বিকার। ওই আইন নিয়ে পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত তিনি দেননি।

উল্টো তিনি সংসদ ও এমপিদের সম্মান দেখিয়ে আইনটি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

দিল্লিতে রোববার এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিৎ সংসদ এবং এমপিদের সম্মান করা। ’

মোদি যখন  এই আইনের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনও ভারতের বিভিন্ন শহরে এই আইনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছিল।  

ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় কয়েক হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।  

আন্দোলন দমানোর জন্য কয়েকটি প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা।  

বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে।  

চলমান আন্দোলনে ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেলেও সে বিষয়ে আজ একটি কথাও বলেননি মোদি।  

তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই আইন নিয়ে মিথ্যা এবং ভুল তথ্য রটিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে মুসলিমদের কোনো চিন্তার কারণ নেই।  

কিন্তু বিজেপির দ্বিতীয় প্রধান নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ অন্যান্য নেতারা যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে মুসলিমদের যথেষ্ট চিন্তার কারণ আছে। অমিত শাহ তো সরাসরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ওই আইন নিয়ে নতুন করে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টাও করেছে তার মন্ত্রণালয়।

আইন বিরোধীরা বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে বিজেপি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠান জন্যই এমন আইন বলেনও মন্তব্য করেছেন তারা।  

এদিকে এই আইনের প্রতিবাদে শুধু মুসলিমরাই নয়, ভারতের জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেনীর মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এছাড়া এই আইনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন বিজেপির শতাধিক নেতা। পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও বেঁকে বসেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।