সকাল ১১টা পর্যন্ত ফলাফলে এমনটাই দেখা গেছে। এর আগে সকাল ৮টায় ২৪টি জেলা সদর দফতরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটের গণনা শুরু হয়।
বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৮১। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার আসন হল ৪১। এই মুহূর্তে বিজেপি ৩০, জেএমএম ও কংগ্রেস জোট ৪০ আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয় ৩০ নভেম্বর; যা শেষ হয় ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে তিনটি বুথ ফেরত জরিপের প্রতিটিতেই বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে বিজেপি। জিতবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং কংগ্রেস জোট। এখন ওই বাক্য-ই ঠিক হয় কিনা তাই দেখার পালা।
এবার বিজেপির সঙ্গী হয়ে ঝাড়খণ্ড নিবাচনে অংশ নিয়েছে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩৭টি আসন, ৫টিতে জিতেছিল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। মাত্র ৬টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস।
এবারের নির্বাচনে নজরকাড়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, তার পূর্বসূরী হেমন্ত সোরেন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি সুদেশ মাহাতো এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার বাবুলাল মারাণ্ডি।
এদিকে হারের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও ২০১৪ সালের ফলাফলেরই পুনরাবৃত্তি হবে বলে আশাবাদী বিজেপি। ঝাড়খণ্ড বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক প্রকাশ বলেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবো। আমাদের সরকারের ভালো কাজের জন্য ভরসা রেখেছে মানুষ।
তবে জেএমএম-এর সাধারণ সম্পাদক বিনোদ পাণ্ডে বলেন, মহাজোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। বিজেপি সরকারের ওপর হতাশ সাধারণ মানুষ।
বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে হেমন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের ছেলে। ২০১৩ এবং ২০১৪ এই পদে ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএ/