সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সৌদির পাবলিক প্রসিকিউটর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এই সাজার কথা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানির বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও কোনো সাজা হয়নি তার।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত জামাল খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনার পর থেকেই তুরস্ক দাবি করছিল, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
প্রথমদিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও অবশেষে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব সংবাদ সম্মেলনে খাশোগির মরদেহ টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকার করেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, খাশোগির শরীরে ড্রাগ ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। টুকরো করা দেহ কনস্যুলেটের বাইরে এক এজেন্টকে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যাকাণ্ডে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার কথা উঠলেও বরাবরই তা অস্বীকার করছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
একে