মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের বিজনৌর জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগী এ কথা জানান। পুলিশ সুপার বলেন, গোলাগুলির ঘটনায় কেবলমাত্র বিজনৌরেই দুই জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
‘গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিজনৌরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। সেই বন্দুক উদ্ধারে গেলে বিক্ষোভকারীরা এক কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সে সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে সুলেমান (২০) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। আনিস নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন, তবে তা বিক্ষোভকারীদের গুলিতে। ’
এদিকে নিহত সুলেমানের পরিবার পুলিশকে অভিযুক্ত করে জানায়, সম্প্রতি সুলেমান আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়েন। সে সময় পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে।
অন্যদিকে এর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ বিক্ষোভকারীদের অপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর একটা গুলিও চালায়নি।
শুধু তাই নয়, গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজ্যের রাজধানী লখনৌতে সহিংসতার পেছনে ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)’ নামে একটি মুসলিম সংগঠন জড়িত বলে দাবি করেন ও পি সিংহ। পুলিশ এরই মধ্যে ওই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান তিনি।
সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের বেশিরভাগেরই মরদেহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এইচজে