রুশ ও ইরানি সামরিক সহায়তায় সরকারি বাহিনী দু’সপ্তাহ ধরে বিদ্রোহীদের হাতে থাকা একমাত্র প্রদেশটি দখলের জন্য হামলা চালিয়ে আসছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সরকারি ও বিদ্রোহী উভয়পক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বর্তমানে ইদলিবের কৌশলগত গুরুত্বপূরণ মারাত আল-নুমান শহর ঘেরাও করে রেখেছে।
এর আগে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সরকারি বাহিনী মারাত আল-নুমান শহরের প্রায় চার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানায় ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইদলিব ছেড়ে তুর্কি সীমান্তের কাছে পালাচ্ছেন হাজার হাজার শরণার্থী।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, নতুন শুরু হওয়া হামলায় ইদলিব থেকে ৮০ হাজারের মতো শরণার্থী তুরস্কের সীমান্তে জড়ো হয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতরেস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে উভয়পক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের জীবনরক্ষার দায়িত্ব পালন ও নিরাপদে চলাচলের অধিকার নিশ্চিতের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রুশ বিমান হামলায় ইদলিবের সারাকিব শহরের কাছে জুবাস গ্রামে আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে সিরিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। সিরিয়ার সরকার সামরিক উপায়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
সাড়ে আট বছরের এ গৃহযুদ্ধে দেশটিতে পাঁচ লাখ ৭০ হাজারের বেশি নিহত ও ৫১ লাখের বেশি লোক উদ্বাস্তু হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এবি