এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় আগ্রার পার্শ্ববর্তী ফিরোজাবাদে পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে পুলিশ দাবি করে। আর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।
ওই ঘটনায় জড়িত বিক্ষোভকারীদের আটক করতে এবার ‘কৌশল’ নিয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় বিক্রেতা সেজে তাদের কাজ হাসিল করছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
সুনিল কুমার নামে এক সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, বিক্ষোভে জড়িতদের আটকে তিনি নিজেও মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কলা বিক্রেতা হয়ে আগ্রায় অবস্থান করেছেন।
যদিও সেদিনের ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
এছাড়া ঘটনার পর গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হলেও পুলিশ গুলি করেনি বলে প্রাথমিক দাবি করে। তবে সামাজিক মাধ্যমে গুলির বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে অবশেষে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়টি স্বীকার করে রাজ্যপুলিশ।
বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের বেশিরভাগেরই মরদেহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
জেডএস