পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে এক বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান আল-সউদ এ পরিকল্পনার কথা জানান বলে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে তথ্য জানায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম।
তবে কবে বা কোথায় এ বৈঠক হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো জানানো হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) একদিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে আসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভিন্ন মুসলিম দেশের অংশগ্রহণে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুয়ালালামপুর সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করায় পাকিস্তানকে সৌদি নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানাতেই তিনি এ সফরে আসেন বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়।
বৈঠকে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। একইসঙ্গে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপুঞ্জির (এনআরসি) পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে সংখ্যালঘু বিশেষত মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার বিষয়ে জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।
পাশাপাশি পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতে ইমরান খান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, কাশ্মিরী জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষা, জম্মু-কাশ্মীর সংকটের যথার্থ সমাধান এবং ভারতে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ককে ‘ভ্রাতৃপ্রতীম’ ও ‘কৌশলগত’ উল্লেখ করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় সৌদি সহযোগিতা অব্যাহত থাকার নিশ্চয়তা দেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা, কাশ্মীর, চীনে উইঘুর মুসলিমদের দমন, ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ইরানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের অংশগ্রহণে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় কুয়ালালামপুর সম্মেলন। সৌদি আরব এ সম্মেলনকে দেশটির নেতৃত্বের ওআইসির বাইরে বিকল্প মুসলিম ব্লক হিসেবে তৈরির চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছে। পাশাপাশি অন্য মুসলিম দেশগুলোকে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করার জন্য দেশটির চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এবি