এদিকে জাকার্তার আকাশে যেন আর মেঘ না পৌঁছাতে পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে রাজধানীতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে শুধুমাত্র জাকার্তায় ৩৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী জাভা উপদ্বীপ থেকে আরো অন্তত আট জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
>> ইন্দোনেশিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
গত ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকে জাকার্তা ও এর আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে খালবিল খননসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ায় বন্যার পানি নামতে না পেরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
জাকার্তায় এক কোটি মানুষের বাস এবং জাকার্তা মহানগরজুড়ে বাস করেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। এপ্রিল মাসে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্যা আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে এ অঞ্চল।
এর আগে ২০০৭ সালে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় রাজধানী জাকার্তায় অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া পাঁচ বছর আগে নদনদীগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে গেলে বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
জেডএস