দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যারা জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করেছে, তাদের জন্য ‘কঠিন প্রতিশোধ’ অপেক্ষা করছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা কি ইরানের আছে? ইরানের সামরিক বাহিনীর সেই সক্ষমতা কি আছে?
চলুন দেখে নেয়া যাক ইরানের সামরিক শক্তি কতটা-
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মতে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার সক্রিয় সদস্য আছে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্তরে।
৪০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই আইআরজিসি মিলিটারি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এরাই এখন ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফোর্স।
বাগদাদ বিমানবন্দরে যে সোলেমানিকে যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করলো, তিনি ছিলেন কুদস ফোর্সের প্রধান। এই ফোর্স বিদেশে অনেক গোপন অভিযান পরিচালনা করে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে তারা জবাবদিহি করে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপকে অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে কুদস ফোর্স।
ইরান যতটা অস্ত্র আমদানি ও তৈরি করতে চায়, তার প্রধান বাধা অর্থনৈতিক সমস্যা ও অবরোধ।
ইরানের কাছে যে ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। বিশেষ করে স্বল্প আর মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের দিক দিয়ে ইরান বেশ এগিয়ে। এছাড়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার জন্য ইরান মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।
২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তির পর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি স্থগিত করে ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আবারও ওই কর্মসূচি চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
ইরানের যে ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা দিয়ে অনায়াসে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় এলাকার অনেক টার্গেটে হামলা করা সম্ভব।
গোপনে গোপনে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে অনেকদূর এগিয়েছে ইরান। আইএসের বিরুদ্ধে তারা ইরাকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের একেটি ড্রোন ভূপাতিত করে তারা প্রমাণ করেছে যে ড্রোন সনাক্ত করার প্রযুক্তিতে তারা কতটা এগিয়ে গেছে।
সাইবার সক্ষমতায় ইরান বিভিন্নভাবে নিজের যোগ্য করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ২০১০ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর বড় ধরণের সাইবার অ্যাটাকের পর তারা তারা এক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এজে