শনিবার (৪ জানুয়ারি) বাগদাদের কাযিমিয়া মহল্লায় এ শোকযাত্রা শুরু হয় বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এসময় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কালো পোশাকে ইরাকের জাতীয় পতাকা ও হাশাদ আশ-শাবির হলুদ পতাকা হাতে সমর্থকরা একত্রিত হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে বাগদাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এক বিমান হামলায় মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি, আবু মাহদি আল-মুহানদিস এবং অপর ছয়জন নিহত হন।
৩১ ডিসেম্বর ইরাকি শিয়া সশস্ত্র সংগঠন কাতায়েব হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সমর্থকরা বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানোর পর এ ঘটনা ঘটলো।
শোকযাত্রায় মেজর জেনারেল সোলেমানির মরদেহ বহনকারী গাড়ি ঘিরে সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তুমি কখনোই আমাদের হতাশ করো নি। ’
ইরাকে বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি, হিকমা পার্লামেন্টারি ব্লকের নেতা আম্মার আল-হাকিম, হাশাদ আশ-শাবির অধিনায়ক ফালেহ ফাইয়াদসহ ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতারা শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে কারবালায় ইরাকের সর্বোচ্চ শিয়া নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী আল-সিস্তানি মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে সবাইকে এ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারন করার আহ্বান জানান।
হাশাদ আশ-শাবির মিডিয়া প্রতিনিধি মুহান্নাদ হোসেইন জানান, শোকযাত্রাটি বাগদাদের হুররিয়া স্কয়ারে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে সবাই নিহতদের প্রতি তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানাবে।
পরে কারবালায় নিহতদের মরদেহ নিয়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে নাজাফে নিয়ে দ্বিতীয় জানাজার পর আল-মুহানদিস ও নিহত ইরাকিদের মরদেহ দাফন করা হবে। অপরদিকে সোলেমানির মরদেহ তেহরানে পাঠানো হবে।
এদিকে সোলেমানির স্মরণে ইরানে তিনদিনের জাতীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এবি