মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালের দিকে সোলেমানির মরদেহ কেরমানে নেওয়া হয়।
ইরানের তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোকের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়।
মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৬২ বছর। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরমানের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। পরিবারকে সাহায্য করার জন্য মাত্র ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন তিনি, আর অবসর সময়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন।
১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের সময় ইরানের সামরিক বাহিনীতে কাজের মাধ্যমে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে শুরু করেন সোলেমানি। ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাকি সীমান্তের কাছে একটি মিশনের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় বীর হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।
তার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সংঘর্ষ যেন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে! ইতোমধ্যে সোলেমানি হত্যাকাণ্ডের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন খামেনি। প্রতিশোধ নেওয়ার পণ করেছেন ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহও। অন্যদিকে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করা হলে ইরানের ওপর আরও হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফএম