সোমবার (৬ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শেয়ার করা এক ভিডিওতে জেএনইউ হামলার দায় স্বীকার করেন পিঙ্কি চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে হিন্দু রক্ষা দলের নেতা হিসেবে দাবি করেন।
ওই ভিডিওতে পিঙ্কি চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানা হয়ে উঠেছে জেএনইউ। এটা আমরা মানতে পারি না। আমরা ওই হামলার সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি। হামলাকারীরা আমাদের সংগঠনের (হিন্দু রক্ষা দল) সদস্য ছিল।
এদিকে টুইটারে এ ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হলেও হিন্দু রক্ষা দলের নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে এটি শেয়ার করা হয়নি। ফলে এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে মুখে কাপড় বাঁধা এক দল যুবক নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরমতি ছাত্রাবাসে ঢুকে লোহার রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে। ওই হামলায় অন্তত ৩৪ জন আহত হন। হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর মধ্যেই হিন্দু রক্ষা দল হামলার দায় স্বীকার করায় ঘটনায় নতুন মোড় নিলো।
জেএনইউ হামলার একাধিক ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে। গোয়েন্দারা সেগুলো যাচাইবাছাই করে দেখছে। পাশাপাশি হিন্দু রক্ষা দলের দাবি কতোটা যুক্তিযুক্ত, তাও খতিয়ে করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এইচজে