বুধবার (৭ জানুয়ারি) ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির উপদেষ্টা হেসামউদ্দিন আশেনা এ হুঁশিয়ারি জানান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিন এক টুইট বার্তায় হেসামউদ্দিন জানান, (ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায়) যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সামরিক পদক্ষেপকে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ দিয়ে মোকাবেলা করা হবে। ’
‘সৌদি আরব চাইলে ভিন্ন পথ বেছে নিতে পারে। তারা চাইলে শান্তিতে থাকতে পারে। ’
আরেক টুইট বার্তায় ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার যথাযথ বদলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইরান এর জবাবে মার্কিন কোনো হামলা প্রত্যাশা করে না। তেহরান যুদ্ধ চায় না বলে জানান তিনি। কিন্তু কোনো আগ্রাসন চালানো হলে তেহরান প্রতিরোধ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন জারিফ।
এদিকে ইরানের বিপ্লবী প্রতিরক্ষা বাহিনী মার্কিন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কেবলমাত্র সোলেমানি হত্যার বদলায় প্রথম ধাপ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় তারা। তা না হলে মার্কিন সেনারা আরও হামলার শিকার হবে বলে হুমকি দিয়েছে বিপ্লবী প্রতিরক্ষা বাহিনী।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পও পাল্টা রণহুঙ্কার দিয়েছেন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বক্তব্য দেবেন বলে এক টুইট বার্তায় জানান ট্রাম্প।
বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ইরাকে মার্কিনিদের আরবিল ও আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন::
ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, ট্রাম্প বললেন ‘তথাস্তু’!
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এইচজে